মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা :
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সর্ববৃহৎ শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা ‘শহীদ ইমরান স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা’ গতকাল ১২ মার্চ, রবিবার সকাল ১১টায় পৌরশহরের সূতী ভি এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গোপালপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ও শহীদ ইমরান স্মৃতি সংঘের সহযোগিতায় উক্ত বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলার ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি মাদ্রাসার ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির প্রায় এক হাজার পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
শহীদ ইমরানের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন স্থানীয় সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনূছ ইসলাম তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা।
অনুষ্ঠিত পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন বৃত্তির সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হালিমুজ্জামান তালুকদার, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ, ছাত্রলীগ আহ্বায়ক মঞ্জুরুল হক ফরিদ, বৃত্তি প্রদান কমিটির আহ্বায়ক ও সূতী ভি এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক নন্দনপুর রাধারাণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল জব্বার, গোপালপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তালুকদার ও বেলুয়া জনতা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হামলায় ইমরান হোসেন (২৯) নিহত হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা দলীয় অফিস থেকে একটি হরতাল বিরোধী মিছিল নিয়ে পৌরশহরের তামাকপট্রি এলাকায় গেলে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা মিছিলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইমরানসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের চার কর্মীকে আহত করে। গুরুতর আহত ইমরানকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
শহীদ ইমরান হোসেনের গ্রামের বাড়ি উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামে। তিনি ঢাকা কলেজের বাংলা অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, সাংস্কৃতিককর্মীসহ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সক্রিয় সদস্য ছিলেন।